নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে প্রভাবশালী এক মহিলার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অসহায় পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ করেছেন বোরহান উদ্দিন নামের একজন ভুক্তভোগী।
এক বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানায়, মাতারবাড়ীর স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড সর্দারপাড়া আমার বোনের বাড়ির উত্তর পাশে আছিয়া বেগম নামের প্রতিবেশি রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন আমার বোনের বাড়ীর পাশ দিয়ে অন্যের জমির উপর রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতো। পরে সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে, তাঁরা আমাদের থেকে রাস্তা দাবি করে স্থানীয়ভাবে বিচার চেয়ে সমাজে অভিযোগ দাখিল করেন। পরে সে অভিযোগের ফলাফল তাঁদের অনুকূলে না যাওয়ায় – আছিয়া বেগম মাতারবাড়ীর জনৈক এক নামকরা দালালের সহযোগিতায় বানোয়াট ভিত্তিহীন ঘর ডাকাতি, ঘরে আগুন দেওয়া সহ নগদ অর্থ লুটপাটের মামলা দায়ের করেন আদালতে। যেখানে আমি সহ ৮ জন নিরহ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৩১ শে মে মহেশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। সিআর মামলা নাম্বার: ১৭৮/২০২২ইং
ভুক্তভোগীদের এই অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদক সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করতে গিয়েও কোনপ্রকার ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন খুঁজে পায়নি। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে মোহাম্মদ হোছাইন নামের একজন মুরব্বি জানায়, মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে আমি সহ গিয়ে এই বিচারটা সম্পন্ন করেছি। মহিলাটি বিচারের ফলাফল না মেনে মিথ্যা মামলা করেছে হয়রানির উদ্দেশ্যে। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোন ডাকতি বা ঘরে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য রেহানা আবছার জানায় যে, আমি আজ ভুক্তভোগীদের কথার উপর ভিত্তি করে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। ওখানে কোন ধরনের বাড়ীতে আগুন দেওয়া হয়নি এবং কোন প্রকার ভাংচুরের চিহ্ন দেখা যায়নি। সবকিছু অক্ষত রয়েছে।
ভোক্তভোগী বোরহান উদ্দিনের ও আছিয়া বেগম উভয়ের প্বার্শবর্তী এক প্রতিবেশি আবু ছিদ্দিক জানায়, আমরা অনেকদিন যাবত একসাথে আছি। বাদি-বিবাদি উভয় আমার প্রতিবেশী। তাঁদের মধ্যে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিচার চলমান জানতাম। তবে এরমধ্যে কেউ কারো ঘরে আগুনও দেয়নি, কারো সাথে কারো জগড়াও হয়নি। যে মামলা টা হয়েছে শুনলাম তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
নিরহ নির্দোষ মানুষ হয়রানির শিকার না হতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও তদন্ত কারী সংস্থার নিকট সুস্থ তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন ভোক্তভোগীর পরিবার।