1. dwipnews24.info@gmail.com : Dwip News 24 :
  2. editor@dwipnews24.com : Newsroom :
'সাংবাদিক সমাবেশ' নিয়ে মহেশখালীর সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি | দ্বীপ নিউজ
May 17, 2024, 3:49 am
শিরোনাম :
গ্লোরিয়াস ওমেন এন্টারপ্রেনার অব বাংলাদেশ এর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত, শাহরিন পরিচালক ও জেরিন সম্পাদক নির্বাচিত সাংবাদিক কায়ছারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার; উপজেলা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ মাতারবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধাঁরে হামলা ও লুটপাট, আহত একাধিক মাতারবাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবী হত্যা মহাকাশ গবেষণায় মহেশখালীর ১১ শিশু-কিশোরের সফলতা মাতারবাড়ি প্রকল্পের ভিতরে সাংবাদিক রকিয়তকে আটকে রেখে মারধর ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন মাতারবাড়ীতে সাংবাদিকদের হাত-পা কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাজাকে বিভিন্ন মহলে অভিনন্দন কক্সবাজার জেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা সম্মাননা পেলেন শাহরিন জাহান মহেশখালীতে ভুমিহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকার সুরক্ষার তাগিদে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

‘সাংবাদিক সমাবেশ’ নিয়ে মহেশখালীর সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • আপডেটের সময় : সোমবার, অক্টোবর ২৪, ২০২২
  • 260 ভিউ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের সামনেই সাংবাদিকতা পেশা ও সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন মহেশখালীর বিতর্কিত ইউএনও মোহাম্মদ ইয়াছিন। ইউএনওকে থামানোর চেষ্টা করলে এমপিকেই নানা প্রশ্ন করতে থাকেন ইয়াছিন। এ সময় সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকেন তিনি। সরকারের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভা ও খবরগুলো সাংবাদিকদের অবহিত করার জন্য এমপি -ইউএনওকে অনুরোধ করতেই তিনি বলেন ওঠেন- হোয়াট ইজ্ সাংবাদিক? কেনো দাওয়াত দিতে হবে? দাওয়াত ছাড়া আসলে আসবে না আসলে নাই। এ বিব্রতকর অবস্থায় এমপি আশেক উল্লাহ রফিক এ সব বিষয় নিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। ইউএনও’র এমন আচরণে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কর্মরত সাংবাদিকগণ। পরে ইউএনওর এমন আচরণের প্রতিবাদে গতকাল মহেশখালীতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও কর্মরত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে সাংবাদিকরা চার দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন।

সূত্র জানায়- গত ২২ অক্টোবর শনিবার মহেশখালী উপজেলা হল রুমে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনেরে আয়োজনে লবণ চাষিদের সাথে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর একটি মতবিনিময় সভা হয়। এতে বিসিক এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কক্সবাজার ২ আসনের এমপি, জেলা আ.লীগ সভাপতি, মহেশখালীর মেয়রসহ অনেকই উপস্থিত ছিলেন। অবহেলিত লবণ চাষিদের নিয়ে এত বড় আয়োজন হলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেনো হয়নি সাংবাদিকদের। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সভা শেষে সভাস্থলের বাইরে বিসিক কর্মকর্তাদের কাছে সভার বিষয়ে ব্রিফিং চান। এ সময় বিসিক এর ডিজি সাংবাদিকদের কাছে সভার বিষয়ে জানাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে হঠাত্ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন ওই স্থানে এসে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যরত অবস্থা থেকে ডিজিকে গড়ি ওঠে স্থান ত্যাগ এর জন্য ডাকতে থাকেন। কোনো সংবাদিককে সরকারের এ উন্নয়নমূলক আয়োজনের বিষয়ে জানানো হয়নি বলে সাংবাদিকরা ডিজিকে অবগত করলে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজক উপজেলা প্রশাসন নয় বলে জবাব দিয়ে ডিজিকে নিয়ে চলে যান। অথচ অনুষ্ঠানের ব্যানারে উপজেলা প্রশাসনই আয়োজক লেখা ছিলো। জিজিকে নিয়ে ইউএনও চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকরা এলাকার সংসদ-সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এর সাথে ওই স্থানেই মহেশখালীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন এবং সরাদেশে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক কারণে সরকারের উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্য সংবাদিকদের জানায় না বলে অভিযোগ করেন। তাছাড়া প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ তৈরি করার জন্য বক্তব্য নিতে সাংবাদিকরা ইউএনওকে ফোন করলে ফোন রিসিভ করে না, ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেয় না বলে জানান। এমনকি সরাসরি দেখা করে বক্তব্য নিতে চাইলে বক্তব্য দেওয়াতো দূরের কথা সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে সরিয়ে দেয় বলে জানান। এরইমধ্যে ওই স্থানে উপস্থিত হন ইউএনও ইয়াছিন। তখন আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক সরকারের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলোর তথ্য সাংবাদিকদের সাথে শেয়ার করে সরকারের উন্নয়নের কথা প্রচারের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ইউএনওকে অনুরোধ জানান। এ সময় সাথে সাথেই ক্ষিপ্তস্বরে এমপির অনুরোধের পাল্টা জবাব দিয়ে ইউএনও বলেন- ”হুইজ সাংবাদিক? এরা কী সাংবাদিকতা জানে? এদেরকে দাওয়াত দিতে হবে কেন? অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে এদেরকে ভাতের প্যাকেট দিবে কে?” -তাছাড়া সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর শব্দব্যয় করতে থাকেন। ইউএনওর তৎক্ষণাৎ এমন আচরণ ও ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন এমপি। হতাশ ও ক্ষুব্ধ হন উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক। পরে এমপি সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্য একটি জরুরি কাজে কক্সবাজার চলে যান।

এদিকে এমপি ও সাংবাদিকদের সামনে ইউএনওর এমন আচরণের কথা জানাজানি হলে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মরত সাংবাদিকরা উপজেলা সদরে জড়ো হতে থাকেন এবং ইউএনওর এমন বক্তব্যের নিন্দা ও ক্ষোভ জানাতে থাকেন। পরে মহেশখালীর সব সাংবাদিক সংগঠন ও কর্মরত সাংবাদিক ভার্চুয়ালি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গড়ে তোলেন এবং তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে গতকাল রবিবার (২৩ অক্টোবর) মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক ভবন এলাকায় মহেশখালীর সব সাংবাদিক সংগঠন ও কর্মরত সাংবাদিক এর ব্যানারে সাংবাদিক সমাবেশে মিলিত হন মহেশখালীর সর্বস্তরের সাংবাদিকগণ। মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুব রোকন এর সভাপতিত্বে ও মহেশখালী উপজেলা প্রেস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক আ ন ম হাসান এর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন মহেশখালী প্রেস ক্লাব এর সভাপতি আবুল বশর পারভেজ ও দ্বিতীয় সমন্বয়ক ছিলেন মহেশখালী উপজেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি জেড এইচ এম ইউনুচ। সমাবেশে মহেশখালী প্রেস ক্লাব ছাড়াও মহেশখালী উপজেলা প্রেস ক্লাব, কক্সবাজার উপকূলীয় সাংদিক ফোরাম, মহেশখালী রিপোর্টাস ইউনিটি, রিপোর্টাস ইউনিটি মহেশখালী, মহেশখালী অনলাইন প্রেস ক্লাব ঐক্যবদ্ধ ভাবে অংশগ্রহণ করে।

সাংবাদিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- যথাক্রমে সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন, হারুনুর রশিদ, এম. ছালামত উল্লাহ, এস এম রুবেল, সিরাজুল হক সিরাজ, গাজী আবু তাহের, মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, সৈয়দ মোস্তবা আলী, জাহেদ সরওয়ার, মকছুদুর রহমান, আব্দুর রশিদ, ফারুক ইকবাল, এম রমজান আলী, মিছবাহ উদ্দিন আরজু, এম বশির উল্লাহ, কাব্য সৌরভ, কায়সার হামিদ, ইশরাত মোহাম্মদ শাহজান, বদরুন্নেছা হ্যাপী, মোহাম্মদ তারেক, এরফার হোসেন, এ এম রহমান, রফিকুল ইসলাম সোহেল, সাইফুল ইসলাম আফ্রেদী, সাইফুল ইসলাম সাইফ, সুব্রত আপন, আরফাত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার বাপ্পি, নুরুল করিম, নুরুল কাদের, নুরুল বশর, আবু বক্কর ছিদ্দিক, সেলিম উল্লাহ, মোহম্মদ হাসান, একে রিফাত, কায়সার হামিদ ও রকিয়ত উল্লাহ। তাছাড়া অনলাইলে সংযুক্ত হয়ে সমাবেশে মোট ৬১ জন সংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে মহেশখালীতে যোগাদান করার পর ইউএনও ইয়াছিন এর বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এই সাথে বিভিন্ন সময় তথ্য ও সেবা নিতে গিয়ে তার কাছে সাধারণ নাগরিকের হেনস্তা হওয়ার বিষয়, গোপনে মাটি বহনের ডাম্পার কানেকশনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। সাংবাদিকতা পেশা ও সাংবাদিকদের নিয়ে কুটুক্তি করার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে এ নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের দাবি জানান। পরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উদ্ধুত পরিস্থিতি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আলোচনা করে চার দফা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সমাবেশের সভাপতি মাহবুব রোকন।

দাবী গুলো হলো- ১. চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনওকে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, ২. সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের যাবতীয় ইতিবাচক নিউজ বর্জন করা হবে, ৩. ২৫ অক্টোবর সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে মহেশখালী উপজেলা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে, ৪. ২৭ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা সদরে মানববন্ধনের পর জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

প্রসঙ্গতঃ ইউএনও মোহাম্মদ ইয়াছিনের পূর্বের কর্মস্থল খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে থাকা অবস্থায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনায় এক দিন মজুর শ্রমিককে ঘটনা সাজিয়ে জেলে পুরে দেন এ ইউএনও। একই উপজেলায় যেখানে স্বাভাবিকভাবে সরকারি ঘর পাওয়া দুষ্কর সেখানে একই ব্যক্তির দুই স্ত্রীর দুজনকেই মুজিবর্ষের ঘর দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে নিজ উদ্যোগে পূর্বের কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় নাটকীয় মানববন্ধন করিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন ইয়াছিন। মহেশখালীতে এসেও থেকে নেই তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। সর্বশেষ সাংবাদিকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করার মাধ্যমে ফের বিতর্কিত হন তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত © 2022 dwipnews24.net
Desing & Developed BY ThemeNeed.com
error: Content is protected !!