নিজেস্ব প্রতিবেদক::
ঘটিভাংগা-সোনাদিয়া রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং একমাত্র রাস্তা হেটে সোনাদিয়া যাতায়াতের মাধ্যম।কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় এই গুরুত্বপূর্ণ এবং একমাত্র হাটার রাস্তাটি কিছু দুষ্কৃতকারী রাস্তা ঘেষে খাঁড়ি নির্মাণ করে,সর্বশেষ ঘটিভাংগা ব্রিজের কাছে মাটি ভরাটের ফলে ভেঙে গেছে এবং গেল কয়েকবছর যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় রক্ষনা-বেক্ষনহীন অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে পুরো সোনাদিয়াবাসী,সোনাদিয়া বিভিন্ন পেশার চাষ করা (লবণ, কাকড়া,বর্শী,তরমুজ) শ্রমজীবী মানুষরা।বিশেষ করে রোগী,গর্ভবতী মহিলা এবং সোনাদিয়া দ্বীপের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।যাদের কোমর পরিমান কাদা,গলা পরিমান পানি রাস্তার কয়েকটি ভগ্নাংশ পার হয়ে যাওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়।তাদেরকে নির্ভর করতে হয় ভাড়ায় চলা একটি নৌকার উপর যেটা জোয়ারের সময় একবারই যাতায়াত করে।
গর্ভবতীর গর্ভপাত এবং শিক্ষকদের ক্লাস জোয়ারের সময়ের ঘাটের বোটটির উপর নির্ভর করেনা।এমতাবস্থায় রোগী ও গর্ভবতী মহিলাকে আদিমকালের বাহনের মত লাশবাহী মসজিদের খাটিয়া অথবা রেড ক্রিসেন্টের দুর্যোগকালীন পরিবহনের একটি খাটিয়ায় করে ঐ ভাঙা রাস্তাার সমস্যা গুলির সম্মুখিন হয়ে আনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করতে হয় ঘটিভাংগার দিকে।ভাগ্য ভালো হলে এপারে পৌছে চিকিৎসা নিতে পারে নাহয় মাঝ পথে কোন দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়।
শিক্ষকদের অবস্থা আরো ভয়াবহ তাদের চলে যেতে হয় শুক্রবারে এবং বন্ধের দিনেও। তারা কাটাতে পারেন না সরকারি ছুটি। না হয় যেতে পারেন না বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ে বা দিনে। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের থাকার জন্য আশ্রয় নিতে হয় কারো বাড়িতে। সোনাদিয়া চর এলাকা হওয়ায় সেখানে একজন শিক্ষক থাকার মত বিশেষ করে মহিলা শিক্ষকদের থাকার খাওয়ার মতো পরিবেশ নাই।এমতাবস্থায় তাদেরকে থাকতে হয় অনেকটা না খেয়ে, খোঁজ করে অথবা স্কুল ফাঁকি দিতে হয়।ফলে ব্যাঘাত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
উল্লেখিত সমস্যার কথা জানিয়ে আগেও প্রতিনিধিদের বেশ কয়েকবার অবগত করা হয়েছিল কিন্তু বেজার সোনাদিয়াকে অধিগ্রহনের দোহাই দিয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই।বেজার অধিগ্রহণ সম্পন্ন সরকারের ব্যাপার এটা নিয়ে আমাদের কোন দ্বীমত বা অমত প্রতিবাদ নাই।বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানের লক্ষে আমরা রাস্তাটি আগের মত কমপক্ষে হাটার যোগ্য হিসেবে চাই।
সোনাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখতার আহমদ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন,কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,মহেশখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রমুখ সোনাদিয়ার সাধারণ জনগনের এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে আবেদনটি বিবেচনা পুর্বক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি।