আ ন ম হাসান, মহেশখালী
মহেশখালীতে রপ্তানির উদ্দেশ্য বাজারজাত করতঃ ১১ঝুঁড়ি কাঁকড়া আটকিয়ে মামলা করেছে বন-বিভাগ। ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বন আইনে মামলা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, ১১ঝুঁড়ি কাঁকড়াসহ একটি গাড়ি আটকানো হয়েছে , সেখানে ৩০ কেজির মত কাঁকড়া রয়েছে বলে জানান তিনি । এই ৩০ কেজি কাঁকড়া জব্দ দেখিয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে ।
সূত্রে জানা যায়, বড় মহেশখালী কাঁকড়া সমিতির ৮ জন ক্ষুদ্র কাঁকড়া ব্যবসায়ী রপ্তানির উদ্দেশ্যে ছোট পিক-আপ করে ঢাকার উত্তরায় ১১ ঝুঁড়িতে প্রায় ৭০০ কেজি কাঁকড়া নিয়ে যাচ্ছিল । ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গোরকঘাটা রেঞ্জের একটি টিম উপজেলার কালারমার ছড়ার ইউনুছখালীতে কাঁকড়াসহ গাড়িটি আটক করে শাপলাপুর বন বিটে নিয়ে যায়।
কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বড় মহেশখালী কাঁকড়া সমিতির কালা চানের ১ঝুঁড়ি, আজিজের ১ঝুঁড়ি,ছোটনের ১ঝুঁড়ি, সালামত উল্লাহর ১ঝুঁড়ি, রবির ২ ঝুঁড়ি, সুকুমার ২ ঝুঁড়ি,বাহাদুর ১ ঝুঁড়ি ও ফারুকের ২ ঝুঁড়ি কাঁকড়া ছিল। প্রতি ঝুঁড়িতে প্রায় ৭০-৮০ কেজি করে প্রায় ৬৫০ কেজি কাঁকড়া ছিল যার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা। এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যবসায়ী ছোটন, আজিজ ও সালামত। তারা জানান বিভিন্ন সময় উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা থেকে উৎসাহ দিলেও মহেশখালীর রেঞ্জ কর্মকর্তারা আমাদের কাঁকড়া আটক করে নিয়ে যায় শাপলাপুরে । সেখানে আমাদের কাঁকড়া গুলো গোপনে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলেও জানান । বড় মহেশখালী কাঁকড়া সমিতির সভাপতি কালা চান বলেন, আমরা কাঁকড়া সমিতির পক্ষ থেকে প্রতি ৬ মাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা করে বন বিভাগকে দিই । এবার করোনাকালে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন বিভাগকে টাকা দিতে পারিনি বলে কাঁকড়াসহ গাড়ি আটকিয়ে নিয়ে গেছে । কাঁকড়া গুলো তাদের নিজস্ব প্রজেক্টে চাষ করে রপ্তানি করা হচ্ছে বলেও জানান তারা । চট্টগ্রাম উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, অনুমোদন ছাড়া বন থেকে কাঁকড়া ধরা নিষেধ । যদিও রপ্তানির উদ্দেশ্যে কাঁকড়া নিয়ে গেলে বন বিভাগ থেকে অনুমোদন নিতে হয় । এছাড়াও জব্দের চেয়ে কাঁকড়ার পরিমাণ বেশি হলে তা অনুসন্ধান করা হবে এবং যে কাঁকড়া গুলো জব্দ করা হয়েছে সেখানে জীবিত গুলো বনে অবমুক্ত করা হবে ।