বন্দর প্রতিনিধি:
মহেশখালীর মাতারবাড়ী টু চালিয়াতলী সড়কে সিএনজি ড্রাইভারদের থেকে অবৈধ টাকা আদায় ও মাতারবাড়ি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় মহেশখালীর কথিত সিএনজি মালিক সমিতির সেক্রেটারি ডাকাত হেলাল কর্তৃক মারধর ও জখমের শিকার হয়েছে কক্সবাজার আইন কলেজ ছাত্র শহিদুল ইসলাম ও তার চাচাত ভাই তৌহিদুল ইসলামকে টিপু।ঘটনাটি ঘটে বিগত ১১ জানুয়ারি বিকাল ৫ টায়। এতে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় ডাকাত হেলালকে প্রধান আসামি করে আট (৮)জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটার পর ঐদিন থেকে কালামারছড়ার উত্তরনলবিলা এলাকার চিতাকুলা স্থলে ব্যাডিকেট দিয়ে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ২দিন যাবৎ মাতারবাড়ি টু চালিয়াতলী সড়কে কোন প্রকার সিএনজি চলাচল করতে দেয়নি। ঐদিন সিএনজি থেকে নামিয়ে মাতারবাড়ি শত শত নারী পুরুষকে মারধর ও হেনস্থা করে টাকা-পয়সা ছিনেয়ে নেয়। এতে হামলার শিকার হন মাতারবাড়ী ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি নুর আলম সহ শত শত মাতারবাড়ির মানুষ। একই দিন রাতে কালারমারছড়ার চেয়ারম্যান তারেক ও মাতারবাড়ি চেয়ারম্যান আবু হায়দার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলে ও সুরহা হয়নি। হেলাল বাহিনী ও নলবিলার কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে শহিদুল ইসলাম ও প্রতিবাদকারী ছাত্র ও যুবকদের জানে মেরে ফেলার প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসতেছে বলে জানা মামলার বাদী।
মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাতারবাড়ী টু চালিয়াতলী সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আসতেছিল সিএনজি ড্রাইভাররা। ভাড়া বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা জানান মালিক সমিতি ২০টাকা আর শ্রমিক সমিতি ১০টাকা করে নামে বেনামে সংগঠন ড্রাইভার থেকে প্রতিদিন টাকা করে আদায় করে থাকে।এই চাঁদা যদি না দেওয়া হতো তাহলে ভাড়া কমানো যেত।তাই এই চাঁদা বিষয়ে আমরা সমিতির সেক্রেটারি সাথে কথা বলতে চাইলে ডাকাত হেলাল আমাদেরকে উচ্চস্বরে গালাগালি করতে থাকে। এ পর্যায়ে আামদেরকে হত্যার উদ্যোশে নলবিলার কয়েকজন ড্রাইভার মিলে আমাদের উপর হামলা করে।এ সময় তারা লোহার লড় ও চুরি নিয়ে আমাদেরকে হামলা করে।বিষয়টি নিয়ে আমরা থানায় মামলা করেছি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন ড্রাইভার এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, শহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় ছাত্ররা ও যুবকরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তা যৌক্তিক ও আইন সংগত।কক্সবাজার জেলার মহেশখালী ছাড়া অন্য কোন উপজেলায় মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজি করে না। কিন্তু মহেশখালীতে তা ভিন্ন চিত্র। এতে ড্রাইভাররা আক্ষেপ করে বলেন এই চাঁদাবাজি মালিক সমিতি নামে হেলাল ও কয়েকজন প্রভাবশালী মানুষ ভাগ বাটোয়ারা করে থাকে। তাছাড়া শ্রমিক কল্যাণ নামে উত্তোলিত টাকার এক পয়সাও খরচ করে না শ্রমিকদের চিকিৎসা ভাতা, এক্সিডেন্ট সহযোগিতা, আর্থিক সহযোগিতা ও মৃত্যু ভাতা প্রদান করে।
এমনতো অবস্থায় স্থানীয়দের দাবি মামলার আসামি হেলাল বাহিনীকে গ্রেপ্তার করে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান।