দ্বীপ নিউজ ডেস্ক:
মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মরত ২ স্থানীয় শ্রমিকের করোনা পজেটিভ। স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে রোগীর বাড়ী লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
করোনা পজিটিভ হওয়া দুই যুবকের বাড়ী ধলঘাটা ইউনিয়নের স্থানীয় পন্ডিতেরডেইল পাড়ায়। তাঁরা হলো স্থানীয়, নজরুল ইসলাম(৩২), পিতা: মৃত ফরিদুল আলম এবং আমির হোছাইন (৩২) পিতা: মৃত শামশুল আলম।
করোনা পজেটিভ হওয়া দু’জনই হলো ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মরত চায়না হার্ভাড কোম্পানীর শ্রমিক।
প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের জ্বর জ্বর ভাব লাগলে কর্মরত কোম্পানীর নিয়োজিত ডাক্তারদের দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে করোনা সম্পর্কে সন্ধেহ করেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে করোনা টেস্ট করলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে তারা দুজনেই সুস্থ আছেন এবং ডাক্তারী পরামর্শ মোতাবেক হোম কোয়ারান্টাইন এ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান মুঠোফোনে আরো জানায়, ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে তাদের খোজ খবর নেওয়া হয় এবং তাদের বাড়িতে লাল পতকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয় যাতে সবাই সচেতন থাকতে পারেন। তাদের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে যাবতীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অবগত করেছি।
তিনি ধলঘাটা বাসীর উদ্দেশ্য আরো বলেন, প্রিয় ধলঘাটাবাসী আপনাদের প্রতি অনুরোধ করোনাকে কেউ অবহেলা করবেন না। প্রথম পর্যায়ে ধলঘাটায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া নাও গেলেও এই দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশেষে দুজন পাওয়া গেল৷ আর এইভাবে দুজন থেকে দুইশত জন আর দুইশত থেকে দুই হাজার হতে কতক্ষণ। তাই আসুন করোনা প্রতিরোধে আমরা নিয়মিত মাস্ক পরিধান করি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলি এবং সবধরনের স্বাস্থবিধি মেনে চলি।
মাতারবাড়ী – ধলঘাটা কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতিমধ্যে অর্ধ শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানা যায়। মাতারবাড়ী, ধলঘাটার স্থানীয় শ্রমিক নিয়মিত কাজ করতে প্রবেশ করে এবং বের হয় প্রকল্প এলাকা থেকে। এরমধ্যে এই দুই ইউনিয়নে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত দুই ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ।