বনবিভাগ কর্তৃক কাঁকড়া আত্মসাতের ঘটনায় সচেতন মহলের ক্ষোভ
আ ন ম হাসান, মহেশখালী:৩০ডিসেম্বর/২০২১
তথ্য গোপন করে মহেশখালী বনবিভাগের অফিসার কর্তৃক চাষী ও ব্যবসায়ীদের আত্মসাতকৃত ৭০০ কেজি কাঁকড়ার ক্ষতিপূরণ পেতে মানববন্ধন করেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের সাথে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রায় ৩শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, মহেশখালীতে জমি ইজারা নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাঁকড়ার চাষ করা হয়। সেখান থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাঁকড়া ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যায়। কাঁকড়া পরিবহনের সময় মহেশখালী বনবিভাগের লোকজন গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিয়েই ব্যবসা করে আসছে তারা। এবারে তাদের দাবীকৃত মোটা অংকের চাঁদা দিতে ব্যবসায়ীরা অপারগতা প্রকাশ করলে গত ২৭ ডিসেম্বর বনবিভাগের শাপলাপুর বিট অফিসার মাহবুবুর রহমান ৭০০ কেজি কাঁকড়া ভর্তি মিনিট্রাক আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু আদালতে ৩০ কেজি জব্দ দেখিয়ে কাঁকড়া অবমুক্ত করে। বাকি সাড়ে ৬শ কেজি কাকঁড়া বনবিভাগের কর্মচারী দিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে আত্মসাৎ করে। এসময় বক্তারা এই ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় এনে ক্ষতিপূরণ দাবী করে।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ক্ষুদ্র কাঁকড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ সেলিম, আবদুল আজিজ, জিয়া উদ্দীন বাবুল, কাঁলাচান, রবিউল আলম। সচেতন মহলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুচ্ছালাম বাঙ্গালী, বড়মহেশখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টু, মহেশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মাওলানা ইউনুছ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এস এম রুবেল, সাংবাদিক আমিনুল হক, প্রমুখ।
এই বিষয়ে মহেশখালী বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, আদালতে ৩০ কেজি জব্দ দেখালেও সাড়ে ৬শ কেজি কাঁকড়া অবমুক্ত করা হয়েছে। মাত্র ৩০ কেজি কাঁকড়া কেন জব্দ দেখানো হলো সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানাননি।