নিজস্ব প্রতিবেদক::
মহেশখালী উপজেলার বড় মমহেশখালীতে মৃত মহিষের মাংস বিক্রি করার সময় পিতাপুত্রকে আটক করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
জানা যায়, ০৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০ টার সময় উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের নতুন বাজার মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। মৃত মহিষের মাংস উদ্ধার করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্কর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, কুতুবজোম তাজিয়াকাটা এলাকার নুর হাসেম (৬০) ও তার পুত্র মনজুর আহমদ (৩৮)। তারা সম্পর্কে পিতা-পুত্র। দীর্ঘদিন ধরে কসাইয়ের কাজ করে আসছিল বলে জানা যায়।
মহিষের মালিক আলী আকবর আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, মঙ্গলবার ভোরে তার পালিত একটি মহিষ মারা যায়। মহিষটি পুঁতে ফেলার জন্য মেয়ের জামাই আবদুল গফুরকে দায়িত্বে দেন শ্বশুর। কিন্তু গফুর লোভের বশিভূত হয়ে স্থানীয় মনজুর আহমদকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মহিষটি বিক্রি করে দেন। এরপর নতুনবাজার এলাকার কসাইদের সহায়তায় নতুন বাজারে মাংস বিক্রি করছিল তারা।
মহিষের মালিক আলী আকবর মাংস বিক্রিস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত মহিষের মাংস বিক্রয়ের সত্যতা নিশ্চিত করলে; স্থানিয় জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। উত্তেজিত জনতা বিষয়টি বড় মহেশখালীর চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুলকে জানায়। পরে চেয়ারম্যান ও স্থানিয়রা পুলিশকে খবর দিলে; থানার এস আই মনিষ সরকারের নেতৃত্বে চেয়ারম্যান এর সহায়তায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাংস বিক্রিকালে দুইজনকে আটক করেছে। তবে মূল কসাইগণ পালাতক।
স্থানিয় সচেতন মহলের দাবি, পালাতক যে কসাইদের সাহায়তায় তারা মৃত মহিষের মাংস বিক্রি করছিল; তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হাই জানান, মৃত মহিষের মাংস বিক্রয় করার সময় ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।