মিজবাহ উদ্দীন আরজু (মহেশখালী প্রতিনিধি)
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড হরিয়ারছড়া এলাকায় জেলে কার্ড করে দেওয়ার নামে প্রায় ৪০ জন থেকে ১০০০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে রেড় ক্রিসেন্টের এক সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন। টাকা দেয়ার পরও তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত প্রকৃত জেলেরা। আবার প্রকৃত জেলেদের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে অন্য পেশার লোকজনকে তালিকাভুক্ত করছেন এমনটাই অভিযোগও রয়েছে অহরহ। নদীতে ২ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এবং করোনায় লকডাউনের কারণে সরকারি সহায়তার জন্য আগ্রহীর সংখ্যাও বেড়েছে।
২ নং ওয়ার্ডের আব্দু রহমান মাঝি অভিযোগ করেন, গত ৯ মাস আগে একি এলাকার রেড় ক্রিসেন্ট সদস্য মৃত কালামিয়ার পুত্র মোহাম্মদ হোসাইন তার কাছ থেকে জেলে তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির কথা বলে ১ হাজার টাকা নেন। প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও জেলে তালিকায় নাম উঠেনি তার। ফলে সরকারি সহায়তা থেকেও তিনি বঞ্চিত রয়েছেন। হরিয়াছড়ার জেলে মোহাম্মদ শহিদুল্লা অভিযোগ করেন, জেলে তালিকায় তার নাম নিবন্ধন করার জন্য ১ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তালিকায় তার নাম আসেনি, পাননি জেলে কার্ডও। কারণ জানতে চাইলে এবং টাকা গুলো ফেরত চাইলে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে নিতে বলেন তিনি। এমনকি আরো হুমকি স্বরুপ কথা বলেন মোহাম্মদ হোসাইন।
একই ভাবে হরিয়ারছড়া এলাকার প্রায় ৪০ জন জেলে অভিযোগ করেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০০০ হাজার টাকা করে নিয়েছে মোহাম্মদ হোসাইন।এভাবেই তিনি বিপুল সংখ্যক জেলেদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকে প্রায় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে জানা গেছে। ইলিশ ধারার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরকারি কোন সুবিধা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রতারণার শিকার হরিয়াছড়া এলাকার প্রায় শ খানেক জেলে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রেড ক্রিসেন্ট সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন থেকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ৩ জন থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এবং সেই টাকা হোয়ানক রেড ক্রিসেন্টের দলনেতা লিয়াকত আলী কে দিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার আঃ রহমান খান আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, মোহাম্মদ হোসাইন নামের কাউকে আমরা চিনিনা। মৎস্য অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো দালাল জেলেদের থেকে কার্ড দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে এমন অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতারণার শিকার সহায়তা বঞ্চিত প্রকৃত জেলেদের উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করার কথাও বলেন তিনি।