আ ন ম হাসান:
মহেশখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আইসিটি শিক্ষক আবু সরওয়ার রানাকে নিয়ে এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে উপজেলার সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনা চলছে৷
এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে জানা যায়, গত সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৯:৩০টার সময় মহেশখালী কলেজের আইসিটি শিক্ষক আবু সরওয়ার রানাকে মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়া এলাকা সংলগ্ন লিডারশিপ কলেজের সামনে হতে এক ছাত্রী সহ এলাকাবাসী কর্তৃক আটক করে। পরে স্থানীয়রা ঐ ছাত্রীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে লিডারশীপের সামনে সন্দেহজনক একটি টমটম (মিশুক গাড়ীর গতিরোধ করে স্থানীয় লোকজন৷ হইহুল্লোড় দেখে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে দেখেন, শিক্ষক রানা সহ একটি মেয়েকে। পরে তাদেরকে জিগ্যাসাবাদ করলে রানা সহ মেয়েটি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তাদের কথায় অসংলগ্নতা দেখা দিলে মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত করে তার চাচাকে ডেকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ এবং এর ফাকে রানা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়৷
ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হালিমুর রশিদ পুতুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- শনিবার রাতে আমি লিডারশিপ কলেজে অবস্থান করছিলাম। সে সময়ে লিডারশিপ হাই স্কুলের সামনে হইচই শুনা গেলে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে পারি৷ এসময় তিনি আরও বলেন, মহেশখালীর সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ মহেশখালী কলেজের আইসিটি শিক্ষকের ছাত্রী সংক্রান্ত এ ঘটনা সত্যি দুঃখজনক ও ঘৃণিত কাজ৷ আশা রাখি, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন৷
এ বিষয়ে মেয়েটির চাচা চরপাড়া এলাকার আনছারুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে শুনে আমার ছেলে তারেক সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়৷ এবং এলাকাবাসী আমার ভাইঝিকে আমাদের জিম্মায় দেয়৷ আমি তাকে তার বাড়িতে পৌঁছানো নিশ্চিত করি৷
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় মহিউদ্দিন সিকদার, মান্নান, তারেক সহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়-
সন্দেহজনক অবস্থায় একটি টমটম মিশুক গাড়ীকে আটকানোর পর সেখানে দুজন মহিলা ও পুরুষকে অপ্রিতিকর অবস্থায় তারা দেখতে পায়৷
এসময় একজন কলেজের আইসিটি শিক্ষক আবু সরওয়ার রানা এবং অপরজন বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়৷ এবং পরে মেয়েটিকে তার চাচার কাছে হস্তান্তর করি৷ সুযোগ পেয়ে রানা ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়৷ এবিষয়ে মহেশখালী কলেজের অধ্যক্ষ আহমদ কবিরকে অবগত করা হয়৷ তিনি বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দেন।
এদিকে ঘটনাটি পুরো মহেশখালীতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে৷ ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত রানার সাথে দেখা করলে তিনি প্রথমে পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন ৷ পরে সংবাদকর্মীদের তথ্যমূলত প্রশ্নের বিপরীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। কিন্তু বক্তব্য নিতে যাওয়া তিন সংবাদকর্মীকে নিউজ না করার জন্য অনৈতিক প্রস্তাব দেন।