আ ন ম হাসান:
মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বর্ষা মৌসুমে নীচু এলাকার পানি চলাচলের সুইস গেইটটি গত সপ্তাহে বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে নতুন সুইস গেইট খননের কাজ করার অনুমতি দিয়েছে কোলপাওয়ার কর্তৃপক্ষ। যার কারণে সামনের বর্ষা মৌসুমে মাতারবাড়ির নীচু অঞ্চলের খন্দারার বিল সহ অন্যান্য গ্রাম গুলো প্লাবিত হয়ে স্থানীয়দের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হবে।
জানা যায়, মাতারবাড়িতে সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের জন্য সরকার ১২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ঐ জমিতে প্রজেক্টের কাজ শুরু না হওয়ায় পূর্বের ন্যায় জমি মালিকদের চাষাবাদের অনুমতি দেয় সরকার।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার রফিক স্থানীয় একাধিক মামলার আসামী বদর উদ্দীন, কাউসার সিকদার, মকছুদ ও নাছিরের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে খন্দরার বিল গ্রামের পানি চলাচলের দীর্ঘদিনের সুইস গেইট বন্ধ করে দিয়ে অপরপ্রান্তে আরেকটি সুইস গেইট স্থাপনের ব্যবস্থা করে দেন। এতে করে বদর উদ্দীন গংদের মাছ চাষে সুবিধা হবে কিন্তু প্লাবিত হবে শত শত ঘরবাড়ি। এদিকে সরজমিনে গিয়ে সুইস গেইট নির্মানের দৃশ্য দেখা যায়। অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে সুইস গেইটটি বন্ধ করার কারণে বৃষ্টির পানি বের না হতে পেরে পুরো গ্রাম প্লাবিত হবে। তাই স্থানীয়রা সুইস গেইটটি দ্রুত খোলে দেয়ার দাবী জানান।
স্থানীয়রা আরো জানান, একটি পক্ষকে অপসুবিধা দিতে ঘুষ নিয়ে কোলপাওয়ারের ইঞ্জিনিয়ার রফিক তাদের গ্রামকে পানির নীচে তলিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
এই বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) এর বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের পিডি প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, প্রজেক্টের জমিতে কোন ধরনের সুইস গেইট নতুন স্থাপন কিংবা বন্ধ করার কোন নিয়ম নেই। তারপরেও অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। কোল পাওয়ারের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছি। নিম্ন অঞ্চলের পানি চলাচলের সুইস গেইট বন্ধ করা হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।