মিছবাহ উদ্দীন আরজু: (মহেশখালী প্রতিনিধি)
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর উত্তরপ্বার্শে সিংগাপুর বেড়িবাঁধে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় প্রান্তিক লবণ চাষি ও লবণ চাষে সম্পৃক্ত পরিবার গুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। বিপরীতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রান্তিক লবণ চাষিরা।
মাতারবাড়ী উত্তর ও দক্ষিণ পাশে বর্তমান সরকারের দুইটি মেগাপ্রকল্পের কাজ চলার কারণে কোনপাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিলোনা এযাবতকাল। ফলে বর্ষাকালে পশ্চিমের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ এবং বৃষ্টির পানি জমাট হলে স্থানীয় নিম্ন এলাকার হাজার তিন এক বাড়ীঘর প্লাবিত হতো ।
মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাটে একটি পানি নিষ্কাশনের চুইচ গেইট নির্মাণের কাজ চললেও উত্তরের ফার্মঘোনা এবং ১৮ ধোন্ন্যা ঘোনা সংলগ্ন এলাকায় কোন চুইচ গেইট না থাকায় পানি জমাটের কারণে প্বার্শবর্তী খন্দারবিল, পূর্ব পাড়া ও বানিয়াকাটার প্রায় হাজার তিন এক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতো স্থানীয়রা।
গত সোমবার স্থানীয় লবণচাষী ও লবণ চাষের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গগণ বেড়িবাঁধের উপর সাময়িক ভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় স্থানীয় প্রান্তিক লবণ চাষি সহ হাজার ৩/১ পরিবার সহ এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফুটে। এর ফলে স্থানীয় চাষিরা লবণ চাষে সুবিধা হবে বলেও জানায় এবং বর্ষাকালে পানি জমাট রোধ হলে বন্যা থেকে রক্ষা পাবে স্থানীয় ৩ হাজার পরিবার।
এদীকে প্রান্তিক লবণ চাষিদের সুবিধার্তে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায়, স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারীর ইন্ধনে বিভিন্ন পত্র – পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মাতারবাড়ীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। এ মিথ্যা ভিত্তিহীন প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় প্রান্তিক লবণ চাষি ও উপকারভোগী স্থানীয়রা।
প্রান্তিক লবণ চাষিদের মধ্যে শায়ের মোহাম্মদ, আব্বাস, ওসমান গণি, বেলাল, সাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান সহ অর্ধশত চাষি প্রতিবেদক কে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি বন্দী ছিলাম এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি না পাওয়ায় লবণ চাষে ব্যর্থ হই। এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় আমরা প্রান্তিক চাষিরা সহ স্থানীয়রা অনেক উপকৃত হচ্ছি। এবং লবণ চাষে বৃহৎ ভূমিকা রেখে দেশীয় জিডিপিতে অবদান রাখতে পারব বলে আশা রাখি।
এব্যাপারে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আবু হাইদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেড়িবাঁধে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার বিষয়টা নিয়ে আমি আজকে অবগত হয়েছি। তবে পানি নিষ্কাশনের ফলে স্থানীয় প্রান্তিক চাষীরা উপকৃত হলে সেটা আমি দেখবো আর যদি অবৈধ ভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয় এবং স্থানীয়দের ক্ষতি হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মাতারবাড়ী খন্দারবিল, পূর্ব পাড়া ও বানিয়াকাটার স্থানীয় চাষিরা সিংগাপুর প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পরও লবণ চাষ করার অনুমতি দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বর্ষাকালে পানিবন্দী জীবন থেকে মুক্ত হতে স্থায়ী ভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্নত মানের সুইচ গেইট নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।