এ.কে.রিফাত: (মহেশখালী)
আমরা মহেশখালী বাসীর উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন, হাটখোলা ইউনিয়ন, কোম্পানীগঞ্জ ও দঃ সুরমা উপজেলার মোঘলা বাজার সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রাণ হিসেবে সাড়ে ৭ কেজি ওজনের প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু এবং ৫০০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয় ৷
আমরা মহেশখালী বাসী সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক ও বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির আযাদের সার্বিক তত্বাবধানে বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন টিম মেম্বার আ ন ম হাসান, মুনির বিন সোলতান, এনামুল হক ও মোঃ রায়হান ৷
সিলেট থেকে উপস্থিত ছিলেন সদর জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ ইসহাক, এসএসসি-এইচএসসি ১২/১৪ ব্যাচের সিলেট ডিভিশনের এডমিন আরিয়ান আলিম, আরস, মারুফা আক্তার, রানা, পুলিশ সদস্য মাহমুদ মিজান সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য বৃন্দ ৷
ত্রাণ বিতরণ কালে আমরা মহেশখালী বাসী সংগঠনের টিম মেম্বার মুনির বিন সোলতান আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আমরা মহেশখালী বাসীর পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী দিতে এসেছি ৷
মানুষের অবস্থা দেখে একথা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে তাদের দুঃখ-কষ্ট অভাব অনটনের তুলনায় আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম খুবই অপ্রতুল। বানভাসি মানুষের আরো সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি। এখনো যারা ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি, যেসব সংগঠন এখনো ত্রাণ দেওয়ার উদ্যোগ নেননি, আমরা আহবান করব আপনারা প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এই বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। তাহলে আশা করা যায়, বন্যা পরবর্তী তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে ৷
আমরা মহেশখালী বাসীর অন্যতম সদস্য সাংবাদিক আ ন ম হাসান সিলেটের গণমানুষের পানিবন্দীরত নিষ্টুর অবস্থা দেখে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন,পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ বানভাসিদের সাথে ভাগাভাগি করতে নুন্যতম একটি কোরবানির গরু উপহার দেওয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করছি।
পরিশেষে আমরা মহেশখালীবাসীর প্রধান সমন্নয়ক হুমায়ুন কবির আযাদ যে বা যারা অত্র সংগঠনের অগ্রযাত্রায় ডোনেশন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে দেশের যে কোন জায়গায় দুঃসময়ে হতদরিদ্র গণমানুষের কষ্টে পাশে থাকার জন্য সকলকে আহবান জানান।