করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে ব্রাজিলে। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৮০৪। ৩ লাখ ৩০ হাজারের বেশি আক্রান্ত নিয়ে রাশিয়াকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। প্রতিবেশি চিলি, পেরুতেও একই অবস্থা।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। শেষ চার দিনে নতুন ২৫ হাজারসহ ভারতে মোট আক্রান্ত ছাড়িয়েছে সোয়া লাখ। পাকিস্তানে ৫২ হাজারের বেশি। নেপাল, আফগানিস্তানেও বাড়ছে শনাক্ত।
নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলেই অন্তত ১৪ দিন সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আদেশ অমান্য করলে জরিমানা অন্তত ১ হাজার পাউন্ড। ৮ জুন থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে- তার মানে এই নয় যে, আপনাকে ভ্রমণে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। মূলত জরুরি প্রয়োজনে ভ্রমণের জন্যই ফ্লাইট চালু হচ্ছে। পর্যটনের জন্য কাউকে প্রবেশের অনুমতি বা ভিসা দেয়া হবে না।
এদিকে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলো। প্রথমবার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে চীন। আর ২০২০ সালের মধ্যে কোভিড নাইনটিনে কার্যকর ও নিরাপদ ভ্যাকসিন বাজারজাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। অন্তত এক লাখ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান তারা।
তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আলাদা প্রচেষ্টার পরিবর্তে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গ্যাব্রেসিয়াস। তিনি বলেন, করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে বেশ কয়েকটি দেশ। প্রত্যেকেই আলাদাভাবে মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করছে। এতে ঝুঁকিই বাড়ছে। এর পরিবর্তে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
দুই মাস পর ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে ফ্রান্স। তবে অংশগ্রহণকারীদের মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকছে।