1. dwipnews24.info@gmail.com : Dwip News 24 :
  2. editor@dwipnews24.com : Newsroom :
দেশে উৎপাদিত করোনার টিকা কারা কিনতে পারবেন? | দ্বীপ নিউজ
April 29, 2024, 3:21 pm
শিরোনাম :
সাংবাদিক কায়ছারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার; উপজেলা প্রেসক্লাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ মাতারবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধাঁরে হামলা ও লুটপাট, আহত একাধিক মাতারবাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবী হত্যা মহাকাশ গবেষণায় মহেশখালীর ১১ শিশু-কিশোরের সফলতা মাতারবাড়ি প্রকল্পের ভিতরে সাংবাদিক রকিয়তকে আটকে রেখে মারধর ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন মাতারবাড়ীতে সাংবাদিকদের হাত-পা কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাজাকে বিভিন্ন মহলে অভিনন্দন কক্সবাজার জেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা সম্মাননা পেলেন শাহরিন জাহান মহেশখালীতে ভুমিহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকার সুরক্ষার তাগিদে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কক্সবাজার-২ থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের মনোনয়ন পাচ্ছেন সাংবাদিক নেতা মাওলানা ইউনুস

দেশে উৎপাদিত করোনার টিকা কারা কিনতে পারবেন?

  • আপডেটের সময় : শনিবার, জুলাই ৪, ২০২০
  • 174 ভিউ

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতিবন্ধকতার শিকার না হলে আগামী ডিসেম্বরে বাজারে টিকা আনতে পারবে তারা। প্রথম ধাপে ৫০ থেকে ৭০ লাখ টিকা উৎপাদন করবে দেশীয় এ প্রতিষ্ঠানটি।

টিকা আবিষ্কারের বিস্তারিত বিষয় নিয়ে দেশের প্রথম সারির একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকার দেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এবং টিকা আবিষ্কারের গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা ১০-১২ জন কাজ করেছি। গবেষক দলের প্রধান ড. কাকন নাগ (গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও) ও ড. নাজনীন সুলতানা (গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিওও)। তারা দুজন আমাদের এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ)। তাদের সুপারভিশনে (তত্ত্বাবধানে) আমরা বাকিরা কাজ করেছি। তারা দুজনই কানাডায় আটকা পড়েছেন।

কানাডা থেকে তারা কীভাবে নেতৃত্ব দিলেন সে প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এখন তো গ্লোবালাইজেশনের (বিশ্বায়নের) যুগ। আজকের সংবাদ সম্মেলনেও তাদের যুক্ত রেখেছিলাম। এখন তো আর ফিজিক্যালি (শারীরিক) যাওয়া লাগে না।

গ্লোবের টিকা সফল হলে সেটা মানুষ কীভাবে গ্রহণ করবে-জানতে চাইলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এই টিকা সুস্থ মানুষের শরীরে দেয়া হবে। ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষ টিকাটি গ্রহণ করবে। আমাদের এখনও একটা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাকি আছে। আমরা অ্যানিমেল (প্রাণী) মডেলে কাজ করেছি। এখন আমাদের হিউম্যান (মানবদেহে) মডেলে কাজ করতে হবে। হিউম্যান মডেলে কাজ করে ‘ডেজ ওয়ান’ একটা স্টাডিজ আছে এবং ‘ডেজ টু’ একটা স্টাডিজ আছে। ‘ডেজ টু’ স্টাডির মধ্যে কয়েকবার ডোজটা দিতে হবে, দিলে অ্যান্টিবডি গ্রো (গড়ে উঠবে) হবে, যে অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাস মেরে ফেলতে পারবে। অর্থাৎ সেটাকে নিউট্রিলাইট করতে পারবে। হিউম্যান মডেলের কাজ বাকি, এটা এখনও আমরা নির্ধারিত করতে পারিনি। এটা নির্ধারণ হবে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর।

সফল হলে প্রথম ধাপে কত টিকা আনার সক্ষমতা আপনাদের রয়েছে- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম ধাপে আমাদের ৫ থেকে ৭ মিলিয়ন (৫০ থেকে ৭০ লাখ) টিকা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। তারপর উৎপাদন আরও বাড়াব। যখন আমরা এক্সপোর্ট (রফতানি) করব, তখন আরও বড় পরিসরে তৈরি করতে পারব।

এই টিকা কি গরিব মানুষ কিনতে পারবেন-জানতে চাইলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাক্সিনেশনে পুরস্কার পেয়েছেন। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ টিকাই বিনামূল্যে দেয়া হয়। টিকাটি যখন আমরা বাণিজ্যিকীকরণ করব, তখন এমনও হতে পারে সরকার জনগণকে ফ্রি করে দিয়েছে কিংবা স্বল্প দামে দিচ্ছে। আমরা যেহেতু উৎপাদক প্রতিষ্ঠান, আমাদের তো খরচ আছে, আমরা তো আর ফ্রি দিতে পারব না। এখন সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা এ টিকা জনগণকে ফ্রি দেব, সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো লাভ করলাম না। আমাদের যে উৎপাদন খরচ, সেটা হয়তো আমরা সরকারের কাছ থেকে নিলাম। এই টিকা গরিব মানুষের কেনার সক্ষমতা থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে আমাদের চেয়ারম্যান তো বলেছেন, সব জায়গায় আমরা প্রোফিট (লাভ) করব না। আমাদের আরও অন্যান্য ওষুধ আছে, সেগুলো দিয়ে লাভ করলাম। এটা উৎপাদনে আমাদের যে খরচ, সেটা দিয়েই আমরা দিয়ে দিলাম। সবার নাগালের মধ্যে আমরা দাম নির্ধারণ করব। এতে অতিদরিদ্র মানুষও এই টিকা কিনতে পারবে।

টিকা বাজারে আসতে কতদিন লাগতে পারে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমরা যদি কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার না হই, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারে আনতে পারব। মানে ছয় মাস লাগতে পারে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে থাকা তাদের আবিষ্কারের টিকা এরই মধ্যে তিনটি খরগোশের দেহে প্রয়োগ করে ইতিবাচক অগ্রগতি পাওয়া গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, করোনার টিকা তৈরি হয়েছে বলেই তা প্রাণীর দেহে প্রয়োগ করা গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা দলের প্রধান আসিফ মাহমুদ বলেন, টিকাটি খরগোশের ওপর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। এখন পরবর্তী প্রটোকল তৈরির কাজ চলছে। এ কাজ শেষ করেই  আনুষ্ঠানিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেব।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্বের মানুষ বিপর্যস্ত। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে আমাদের নিয়মিত গবেষণার পাশাপাশি ‘কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ’ আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণা কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এ প্রতিষ্ঠানের সিইও  ড. কাকন নাগ এবং সিওও ড. নাজনীন সুলতানার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিকস টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে টিকার টার্গেট নিশ্চিত করা হয়েছে। যা যৌক্তিকভাবে এ ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে। এ টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেইসে জমা দেয়া হয়েছে এবং যা এরই মধ্যে এনসিবিআইয়ে স্বীকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে  (accession number : MT676411))। সেই সূত্র ধরেই এখানে গবেষণাগারে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের বিশদ বিশ্লেষণের পর ল্যাবরেটরি এনিম্যাল মডেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে যথাযথ অ্যান্টিবডি তৈরিতে সন্তোষজনক ফলাফল এসেছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত © 2022 dwipnews24.net
Desing & Developed BY ThemeNeed.com
error: Content is protected !!