দ্বীপ নিউজ ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে এমপি আশেকের শোক প্রকাশ।
গত শতকের ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী নাসিম স্বাধীনতার পর ১৯৯৩ সালে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কারাগারে মনসুর আলীকেও হত্যা করা হলে আওয়ামী লীগে সক্রিয় হন নাসিম। তখন কারাগারেও যেতে হয়েছিল তাকে।
১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাসিম। তখন সংসদে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপের দায়িত্বও পান তিনি। তখন তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১, ২০১৪, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নাসিম এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি নাসিমের। তবে পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রেইন স্ট্রোকে সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠেছিল সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের জীবন, সেই সঙ্কট আর কাটল না।
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিইও আল ইমরান জানান , “সকাল ১১টা ১০ মিনিতে তিনি (নাসিম) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।”
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে এক শোকবার্তায়, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকতপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এমপি আশেক দ্বীপ নিউজ টুয়েন্টিফোরকে জানান, আমরা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে একজন দেশপ্রেমিককে আমাদের মাঝ থেকে হারিয়েছি। তিনি বাংলাদেশের গণ মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন সবসময়।