এ.কে রিফাত: (মহেশখালী)
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া নামক এলাকার মেইন রোডে ডাম্পার ও টমটমের সাথে ধাক্কা লেগে একজন পথচারী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৮ই সেপেটেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টায় হোয়ানক ছনখোলা পাড়ায় মহেশখালী-বদরখালী সড়কের ছনখোলাপাড়া ব্রিজ থেকে একটি ডাম্পার নামার সময় পথচারী আলহাজ্ব মজিবুল হক’কে ধাক্কা দেয়, ধাক্কা খেয়ে পথচারী রাস্তার পশ্চিম পাশে টমটমের সাথে পুনরায় ধাক্কা খায়, এতে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত মোহাম্মদ আলহাজ্ব মুজিবুল হক ছনখোলা পাড়া এলাকার মৃত মৌলানা শফিকুর রহমানের পুত্র বলে জানা যায়। নিহতের ছেলে মোস্তফা কামাল জানায়, সকালে চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির কাভার্ড ভ্যান(ডাম্পার) তার বাবাকে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান।
উক্ত বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি ইনভেষ্টিগেশন মীর আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের সুরতহালের পর নিহতের স্বজনদের কোন ধরনের অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
মহেশখালীতে ডাম্পারের ধাক্কায় প্রান কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। তবে এপর্যন্ত কোন ডাম্পার বা তার মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখেনি। যার ফলে প্রতিনিয়ত ডাম্পারের ধাক্কায় যে কারো প্রান গেলেও তা সমঝোতা হয়ে যায় মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে।
এক্ষেত্রে নিহতদের কিছু পরিবারকেও দায়ী করেন মহেশখালীর সচেতন মহল।তারা প্রশাসন ও নিহতের পরিবারের দিকে প্রশ্ন ছুটে দেন এই যে; একটা মানুষ ডাম্পারের ধাক্কায় মারা গেল অথচ থানায় এখনো পর্যন্ত (প্রায় ১২ ঘন্টা) পেরিয়ে গেলেও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া বা নেওয়া হয়নি কেন এবং সেসব গাড়ী যা অনেকগুলো প্রান কেড়ে নেওয়ার পরেও রাস্তায় চলে কেমনে? এমনটাই অভিযোগ করেন সচেতন মহল।