নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুতুবদিয়ার ভাঙা বেড়িবাঁধ বর্ষামৌসুমের আগেই মেরামতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিলেন কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
বিগত ৪/৫ দিন ধরেই সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে, অনুরূপ ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শংকায় ছিল সারাদেশের উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণ।
কক্সবাজার জেলার জনবিচ্ছিন্ন একমাত্র দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলা ৭১ নাম্বার হোল্ডারের বেড়িবাঁধের অবস্থা ছিলও খুবই মন্দ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বেড়িবাঁধে (ব্লক) দেওয়ার কাজ আগে থেকেই চালু ছিল যা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলাবাসী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে খুব বেশি ক্ষতি সম্মুখীন না হলেও, আমাবস্যার বন্যায় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশদিয়ে প্লাবিত হয়ে যায় আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাহারপাড়া, তেলিপাড়া, উত্তর ধুরুং কাইছার পাড়া, নয়াকাটা এলাকা।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে উক্ত গ্রাম গুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনাও খুব বেশি, তাই উক্ত হোল্ডারের বেড়িবাঁধ রক্ষা করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বর্ষার আগেই বেড়িবাঁধ মেরামতের নির্দেশ দেয় কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলহাজ্ব ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি গত ২৪ শে মে রবিবার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে উক্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে এমনটা জানা যায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে। তাঁহার ফেসবুক স্ট্যাটাস নিম্নে তুলে ধরা হলো:
“ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে কুতুবদিয়া উপকূলের ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলহাজ্ব ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। রবিবার দুপুরে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাহারপাড়া, তেলিপাড়া, উত্তর ধুরুং কাইছার পাড়া, নয়াকাটা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও,ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোক নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে ভাঙা বাঁধ বর্ষার পূর্বে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।”