বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে প্রায় দুই মাস ধরে লকডাউন চলে আসছিল৷ ৩১মে থেকে শিথিল হল লকডাউন৷যদিও করোনার প্রভাব দিন দিন বাড়ছে তবুও সিমিত আকারে চালু হয়েছে অফিস সহ সবকিছু৷ এই অবস্থায় করোনা থেকে বাচঁতে হলে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব৷
* মাস্ক-বাড়ী থেকে বের হলেই পড়তে হবে মাস্ক৷ কোনভাবেই মাস্ক ছাড়া বের হওয়া যাবেনা৷ মাস্ক কখনো পকেটে বা তুথুনীতে অথবা নীচে নামিয়ে রাখা যাবেনা৷ পারত পক্ষে N95 মাস্ক পরতে হবে৷ অন্যথায় সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা বাড়ীতে কাপড় দিয়ে বানানো মাস্ক পরতে হবে৷ প্রতিদিন একই মাস্ক বা একটি মাস্ক একাধিক ব্যক্তি পড়া যাবেনা৷ প্রয়োজনে মাস্ক ধুয়ে পড়তে হবে৷ এক্ষেত্রে বাড়ীতে বানানো কাপড়ের মাস্কগুলো অত্যন্ত কার্যকরী৷ সুস্থ মানুষ বাইরে বের হওয়ার সময় আর অসুস্থ মানুষকে সব সময় মাস্ক পরতে হবে৷
* হাতধোয়া/হ্যান্ড সেনিটাইজার-২০মিনিট পরপর হাত ধোয়া অত্যন্ত জরূরী৷ কিন্তু দেখা যায় বাজারে কিংবা দীর্ঘ ভ্রমনে হাত ধোয়ার সুযোগ থাকেনা, সেক্ষেত্রে হ্যান্ড সেনিটাইজার/হেক্সিসল অত্যন্ত কার্যকরী৷ হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হেক্সিসল দিয়ে ২০মিনিট পরপর দুই হাত ভালভাবে জীবানু মুক্ত করে নিতে হবে৷ সুযোগ হলে অবশ্যই সাথে সাথে হ্যান্ড ওয়াশ/সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে৷
* গগলস/চশমা-মাস্ক পরার কারনে নাক ও মুখ সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু জীবনু প্রবেশ করার আরেকটি মাধ্যম হল চোখ, সাধারনত আমরা চোখের সুরক্ষার জন্য কিছুই ব্যবহার করিনা, অসাবধানতাবশত চোখের আশেপাশে হাত দিই, বা আক্রান্ত কারো হাচিঁ কাচির মাধ্যমে এই জীবানু চোখ দিয়েও প্রবেশ করতে পারে শরীরে, আক্রান্ত হতে পারি যেকোন সময়৷ তাই চোখের সুরক্ষার জন্য বাইরে বের হতে গগলস পরাটা অত্যন্ত জরুরী৷
* সামাজিক দুরত্ব-আমরা মুটামুটি মাস্ক, হাতধোয়াটা রপ্ত করতে পারলেও সামাজিক দুরত্বের বেলায় আমাদের অবস্থান শূন্যের কোটায়৷ বাজারে কিংবা ঘরে অথবা মসজিদে নয়ত কোন জানাযায় আমরা কোনভাবেই মানছিনা সামাজিক দুরত্ব৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এই কাজটা আমরা সবচেয়ে বেশী অবহেলা করছি৷ আর সংক্রমিত হচ্ছি খুব সহজে৷ আসুন আমরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী সচেতন হই৷
আসুন নিজে বাচিঁ, পরিবারকে বাচাঁই, দেশ ও জনকল্যানে কিছু করি৷
আমার আপনার মৃত্যু অন্যদের কাছে একটা সংখ্যা মাত্র, একটু ভাবুন কতটা গুরুত্বপূর্ন আমি আপনি আমাদের পরিবারের জন্য৷
স্বাস্থ্য সহকারী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,মহেশখালী।