দ্বীপ নিউজ ডেস্ক:
যেখানে পুরো বাংলাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়ছে করোনার বিরুদ্ধে ঠিক এই মুহূর্তে ঈদগাঁহ থানার জালালাবাদ ইউনিয়নসহ পুরো বৃহত্তর ঈদগাঁহবাসী অতিবর্ষণে সৃষ্ট পাহাডী ঢলে হাজারো পরিবার বন্যায় কবলিত হলো আজ। ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা তো নাই বললেই চলে, নেই রান্না-বান্নার কোন সুযোগ । বিভিন্ন জায়গায় বাড়ীঘর প্লাবিত হওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে ভারী বৃষ্টির ফলে।
ভারী বৃষ্টি বর্ষণের ফলে ঈদগাঁহ থানার জালালাবাদ ইউনিয়নের ফরাজী পাড়া রাস্তার গাইড ওয়াল ভেঙ্গে পুরো জালালাবাদ ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত ও প্রায় চার পাঁচ হাজার মানুষ ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছে ইতিমধ্যে।
এমন দূর্যোগে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে বন্যায় প্লাবিত মানুষের পাশে থেকে তাদের খোঁজ খবর নিতে গতকাল সকাল- সন্ধ্যা থেকে আজ সকালেও ছুটে গেলেন জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ দ্বীপ নিউজকে বলেন, ভারী বৃষ্টির ফলে গতকাল সকাল থেকে ঈদগাঁহ নদীতে মাত্রাতিরিক্ত ঢলের পানি বৃদ্ধি পায়। এলাকাবাসীকে নিয়ে বাঁধের পানি ঠেকানোর যুদ্ধে গিয়ে কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে বাঁধের পানির কাছে জালালাবাদবাসীকে হার মানতে হলে ভেঙ্গে গেলো বেড়িবাঁধ, লোকালয় হলো প্লাবিত, ঘর ছাড়া শত শত পরিবার । তখনই উপায় অন্তু না দেখে ফোন দিয়ে আপনাদের দুর্দশার কথা জানালাম সম্মানীত জেলা প্রশাসক মহোদয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব ) মহোদয়, ইউএনও মহোদয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীকে । গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ আমার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী সহ ইউএনও মহোদয় । আশ্বস্ত করেছেন নদীর ঢল কমলেই ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধের কাজ শুরু হবে ।
এছাড়া জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার ইউনিয়নের সম্মানীত জনসাধারণকে অনুরুধ করবো দুর্যোগকালীন মুহূর্তে সবাইকে ধর্য্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার । আমার বিশ্বাস আমরা জালালাবাদবাসী এমন দুর্যোগ অতীতেও সাহসীকতার সহিত মোকাবিলা করেছি এইবার ও পারবো ইনশাআল্লাহ ।