অনলাইন ডেস্ক:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছেলে মো. কলিম উল্লাহকে (২৭) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পেটানোর ঘটনা ঘটে। এরপর রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার বাবা চকরিয়া পৌরসভার সাত নং ওয়ার্ডের আকবরীয়া পাড়ার কামাল উদ্দিন।
কলিম উল্লাহ পেশায় রাজমেস্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির পাশে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
তার স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমার স্বামী কলিম উল্লাহ দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাজারে যায়। বাজার থেকে ফেরার পথে আমার শ্বশুর কামাল উদ্দিন ছেলে কলিম উল্লাহকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আমার চাচাশ্বশুর জয়নাল, দেবর আরমান ও প্রতিবেশী ইমন মিলে কলিম উল্লাহকে ধরে নিয়ে বাড়ির সামনে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে আবারও হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে কলিম উল্লাহর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু কলিম উল্লাহর অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এদিন রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে আমার ছেলে বায়েজিদ মোস্তফা তার বাবা কলিম উল্লাহর কাছ থেকে টাকা নিয়ে চকলেট কিনতে যায় দোকানে। তখন আমার চাচাশ্বশুর জয়নাল তাকে অহেতুক মারধর করেন। পরে বায়েজিদ ঘটনাটি আমার শ্বশুরকে জানান। কলিম উল্লাহকে কেন মারধর করেছে তা চাচার কাছে জানতে চান আমার শ্বশুর।
এতে দু’জনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় এক কাউন্সিলর বিষয়টি বিচার-সালিশের মাধ্যমে সমাধান করে দেন।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।