অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের কয়েকটি রাজ্য করোনার প্রতিষেধক হিসেবে সম্প্রতি ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০’ নামের একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। আয়ুষ মন্ত্রণালয় করোনার প্রতিষেধক হিসেবে যেসব ওষুধের তালিকা তৈরি করে, সেখানেও এর নাম রয়েছে। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো তথ্য-প্রমাণ না থাকায় ওষুধটি নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
শোধন করা (ডিস্টিল্ড) পানির সঙ্গে আর্সেনিক মিশিয়ে গরম করে তৈরি করা হয় ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০’। আর্সেনিকের ফলে শারীরিক সমস্যার কথা সর্বজনবিদিত। এর ফলে ত্বকের ক্যান্সার, ফুসফুস ও হৃদেরাগ হতে পারে।
কিন্তু এই হোমিওপ্যাথি ওষুধে ১ শতাংশের কম আর্সেনিক থাকে বলে জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের প্রেডিকটিভ হোমিওপ্যাথি ক্লিনিকের চিকিৎসক অমরীশ বিজয়কর। তিনি বলেন, ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম শরীরের প্রদাহের জন্য ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়া, সর্দি-কাশির জন্য এই ওষুধ ব্যবহৃত হয়।’ একটি কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ছোট শিশির দাম ২০ থেকে ৩০ রুপি।
গত ২৮ জানুয়ারি সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথির সভায় মত প্রকাশ করা হয়, ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম-৩০’ করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) পরিচালক বলরাম ভার্গব বলেন, ‘আমরা এই ওষুধ নিয়ে কোনো নির্দেশিকা (গাইডলাইন) জারি করিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডাব্লিউএইচও) এ নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি।’
ডাব্লিউএইচওর মুখ্য বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, ‘করোনা মোকাবেলায় এই ওষুধ কাজ করে বলে কোনো প্রমাণ নেই।